মাইন ক্রাফট এনিমেশন | পর্ব – ০১ (শুধু সফটওয়্যার)
অনেকেই ইউটিউব বা ফেসবুকে মাইন ক্রাফট এর বিভিন্ন ধরনের এনিমেশন দেখতে পারবেন। আবার বড় বড় মাইনক্রাফট চ্যানেলের ইনট্রোতেও এসব এনিমেশন দেখতে পাবেন।
এসব এনিমেশন কোন সফটওয়্যার দিয়ে বানানো হয়, কিভাবে বানানো হয়, আজ এই পোস্টে এগুলো নিয়েই আলোচনা করবো।
এধরনের এনিমেশনগুলোকে সাধারনত মাইনক্রাফট এনিমেশনই বলে। আর এসব এনিমেশন বানানো হয় “মাইন ইমাটর” Mine Imator সফটওয়্যার এর সাহায্যে।
মাইন ইমাটর মাইনক্রাফট এনিমেশন বানানোর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যাবহার করা হয়। এটি শুধু পিসিতে ব্যাবহারযোগ্য। মোবাইল এনিমেশন নিয়ে আরেকদিন কথা বলবো ।
মাইন ইমাটর কোথায় পাব?
এইজে লিংক। এখান থেকে উইন্ডো ইন্সটলার ডাউনলোড করে ফেলুন। এরপর ইন্সটল করুন। মাইন ইমাটর ওপেন করুন।
মাইন ইমাটর ফ্রি না পেইড সফটওয়্যার?
এটা একদম ফ্রি। কিন্তু ডাউনলোড করার পর কোন ভিডিও রেন্ডার করলে ওয়াটার মার্ক থাকে।
তাই অনেকে ভাবে এটা পেইড। কিন্তু খুব সহজ ভাবে ওয়াটার মার্ক রিমোভ করা যায়।
এই লিংক এ ক্লিক করুন।
এরপর I’d rather not donate এ ক্লিক করে Get key এ চাপুন। কি পেয়ে যাবেন। সেটা দিয়ে এক্টিভেট করে ফেলুন। ওয়াটার মার্ক চলে যাবে।
মাইন ইমাটর ব্যাবহারের সুবিধাঃ
১। এই সফটওয়্যার একদম উন্মুক্ত ও বিনামূল্যে ব্যাবহার করা যায়।
২। শুধু মাত্র মাইনক্রাফট এনিমেশন এর জন্যই।
৩। প্রত্যেকবার মাইনক্রাফট ভার্শন আপডেট হওয়ার সময় প্রত্যেক ভার্শনের এসেস্ট পেয়ে যাবেন।
৪। বিল্ড ইন শ্যাডার ফাংশন।
৫। সব আইটেম ও এসেস্ট আগে থেকেই দেয়া থাকে।
৬। অনেক প্রকার কি ফ্রেম। যার মাধ্যমে এনিমেশন আর সুন্দর করে বানানো যায়।
৭। সম্পুর্ন একটা এনিমেশন কমিউনিটি। যার ফলে এনিমেশন শেখার সময় অনেক হেল্প পাবেন।
৮। নিজের ইচ্ছামত রেজুলেশন দিয়ে রেন্ডার করতে পারবেন। এমিনকি আপনার পিসি 4K গরাফিক্স সাপোর্ট করলে সেটাও রেন্ডার করা যায়।
৯। সহজ ও নর্মাল ইউজার ইন্টারফেস। তাই ব্যাবহারে অনেক সুবিধা।
আজ এ পর্যন্ত। এরপর আবার পোস্ট করবো। সেখানে মাইন ইমাটর ও ব্লেন্ডারের পার্থক্য বলবো।